বয়স বাড়লে স্মৃতিশক্তি কমে, এ নিয়ে বলার কিছু নেই। তবে স্মৃতিশক্তি কমার জন্য আমরা নিজেরা কিছুটা দায়ী। গবেষকরা মানুষের মস্তিষ্ক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা করছেন। বয়স বাড়লেও কীভাবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় রাখা যায় তা নিয়ে তারা অনেক ধরনের পরামর্শও দিয়েছেন।
তারা বলছেন, যত বেশি পরিমাণে মস্তিষ্কের চর্চা করা যাবে এবং শরীরের যত্ন নেয়া হবে ততই মস্তিষ্কের উর্বরতা বাড়বে। চলুন স্মৃতিশক্তি ধরে রাখার কিছু উপায় জেনে নেই।
◼️বুদ্ধি খাটিয়ে খেলতে হবে এমন খেলা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। ইন্টারনেটে এ ধরনের গেম পাবেন। এ ছাড়া প্রতিদিন সকালে ‘শব্দজট’ খেলার অভ্যাস করা যেতে পারে।
◼️মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে ভিটামিনযুক্ত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তাজা ফলমূল, গাঢ় সবুজ শাক-সবজি, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, গমের রুটি প্রভৃতি প্রোটিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। মাছ, তেলের বীজ, বাদাম ইত্যাদি স্নেহজাতীয় খাবার বাড়িয়ে দিন। পরিমাণ মতো বিশুদ্ধ পানি পান করুন। চিনি, লবণ কম খান।
◼️পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। নির্ঘুম শরীর অনেকাংশেই মনের ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে। তাই ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমান, কিন্তু বেশি ঘুম নয়। আবার এটাও মনে রাখতে হবে, দৈনিক পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুম হলে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আর ১০ ঘণ্টার বেশি ঘুম হলে মস্তিষ্ক সজাগ হওয়ার সময় পায় না।
◼️মানসিক চাপ বাড়লে স্মৃতিশক্তি কমে। এ জন্য কাজের পরিবেশকে ভালো করুন। বন্ধু ও পরিচিতজনের সংখ্যা বাড়ান। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা ও আলাপে সময় কাটাতে হবে। কমিউনিটির নানা কাজে সম্পৃক্ত থাকা ভালো।
◼️যে বিষয়গুলো মনে রাখতে চান তা লিখে ফেলার অভ্যাস করুন। লেখার সময় মস্তিষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তপ্রবাহের পরিমাণ বাড়ে। তাই লিখে রাখুন ডায়রিতে, ই-মেইলে।
◼️শরীর সক্রিয় রাখতে ঘরে নয় বরং বাইরে গিয়ে হাঁটুন। বয়স্কের মধ্যে যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, সচল থাকেন, তাঁদের বৌদ্ধিক উন্নতি বেশ লক্ষণীয়।
◼️হৃপিণ্ডের বিভিন্ন অসুখের কারণেও মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে। তাই নিয়মিত রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করানো উচিত।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।